লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে হওয়ার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনেক হাদিস রয়েছে। কেউ কেউ আবার রমজানের সাতাশ তারিখকে বিশেষভাবে নির্ধারণ করে থাকেন। সর্বোপরি কথা হলো- রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর হয়ে থাকে। লাইলাতুল কদরের রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য নির্দশন। যা তুলে ধরা হলো-<br /> লাইলাতুল কদরের রাতে অধিক সংখ্যক ফেরেশতার আগমন ও প্রত্যাবর্তনের কারণে সূর্য তাদের পাখার আড়ালে থেকে যায়, এ কারণে সূর্যের তেমন কিরণ, তাপ থাকে না বলে অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেছেন।<br /> আর লাইলাতুল কদরের রাতের ঔজ্জ্বল্য প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি হবে।<br /> ইবনে হাজার আসকালানির মতে, শবে কদরের রাতের একটি আলামত হলো, প্রত্যেক বস্তুকে সিজদারত অবস্থায় দেখা যাবে।<br /> প্রতিটি স্থান এমনকি অন্ধকার স্থানগুলোকেও মনে হবে যেন স্বর্গীয় আলোতে আলোকিত।<br />ঐ রাতে ফেরেশতাদের সালাম শুনতে পাওয়া যাবে।<br /> ঐ রাতের আলামত হলো দোয়া কবুল হওয়া।<br /> রাতের শেষ ভাগে হালকা বৃষ্টি হয়ে থাকে।<br /> সবচেয়ে সুস্পষ্ট নির্দশন হলো- ঐ রাতের ইবাদাতে অন্তরে একটা ভিন্ন ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যাবে। বিশেষ ভাবে কুরআন তিলাওয়াতে খুব আনন্দ পাওয়া যাবে।<br />সর্বোপরি কথা হলো- লাইলাতুল কদরের জন্য কোনো প্রকার নিদর্শন আবশ্যক নয়; বরং রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে আল্লাহ তাআলার ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করা। ইশা এবং ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। রাতে কুরআন তিলাওয়াত, জিকির আজকার, দান-খয়রাত করা।<br />আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ কাজগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।