<p>চলন্ত সরকারি বাস থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে ৷ বাস থেকে যাত্রীরা নামতেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। জাতীয় সড়কের উপর সরকারি বাস জ্বলতে দেখে দু'দিকে দাঁড়িয়ে যায় প্রচুর যানবাহন। সোমবার সকালের ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘি থানা এলাকার 12 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ৷ খবর পেয়ে জঙ্গিপুর থেকে তড়িঘড়ি পৌঁছয় দমকলের গাড়ি। কিন্তু, দমকল কর্মীরা আসার আগেই সরকারি বাসটি প্রায় ভস্মীভূত হয়ে যায়। </p><p>যদিও বাসের যাত্রীরা নিরাপদেই নীচে নামতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাড়াহুড়োয় অনেকেই নিজেদের ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে নামাতে পারেননি। সেগুলি সবই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। শর্টসার্কিট থেকেই বাসে আগুন ধরে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন দমকল কর্মীরা। </p><p>জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, "আগুনে পুড়ে সরকারি বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যাত্রীদের কিছু হয়নি। সকলকেই নিরাপদে নীচে নামানো হয়েছে। আজ সকালে মালদা থেকে বহরমপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় সরকারি বাসটি। বাসটিতে 40 জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। বাস যাত্রীদের বক্তব্য মোড়গ্রাম পার হওয়ার পর থেকেই ইঞ্জিন থেকে ইলেকট্রিক ওয়ারিং পোড়ার গন্ধ বেরতে শুরু করে। গুঞ্জন শুরু হলেও কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসের ভিতর ধোঁয়ায় ভরে যায় ৷"</p><p>তিনি আরও বলেন, "চালক দোহালের মোড়ে বাসটি দাঁড় করাতেই যাত্রীদের মধ্যে নামার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গেট দিয়ে নামতে না-পারায় অনেকে জানালা দিয়েই নামতে শুরু করেন। তবে সকলেই প্রায় নিরাপদেই নীচে নামতে পারেন।" তবে চালকের দাবি, ইঞ্জিনে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন ধরেছে। সরকারি বাসের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। বাসযাত্রী সাধন সরকার বলেন, "যাত্রীদের নামতে মিনিট খানেক দেরি হলেই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যেতে পারত।"</p>